কিশোরগঞ্জ নিউজ :: কিশোরগঞ্জকে জানার সুবর্ণ জানালা


কুলিয়ারচরে ভিজিডি চাল আত্মসাত করায় ইউপি চেয়ারম্যান মিজবাহুল সাময়িক বরখাস্ত

 মুহাম্মদ শাহ্ আলম, কুলিয়ারচর | ২৩ ডিসেম্বর ২০২০, বুধবার, ৩:১৪ | কুলিয়ারচর 


কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে ভিজিডি'র চাল আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় উপজেলার ছয়সূতী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মীর মো. মিজবাহুল ইসলামকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
গত ১৫ ডিসেম্বর স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আবুজাফর রিপন সাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে জনস্বার্থে জারি করা হয়েছে এবং তা অবিলম্বে কাকর হবে বলে উল্লেখ করা হয়।

এছাড়া কুলিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবাইয়াৎ ফেরদৌসী উপজেলার ছয়সূতী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মীর মো. মিজবাহুল ইসলামকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ছয়সূতী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভিজিডি কর্মসূচির চাল আত্মসাৎ এর উদ্দেশ্যে উপজেলার ছয়সূতী ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন জিল্লুর রহমান স্মৃতি সংসদে সংরক্ষণ করে রেখেছে উপজেলা প্রশাসন এমন খবর পেয়ে ২০১৯ সালের ২৭ মে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট এক অভিযান পরিচালনা করেন।

অভিযানে জিল্লুর রহমান স্মৃতি সংসদ থেকে ২১ বস্তা চাল জব্দ করে প্রতিষ্ঠানটি  সীলগালা করে দেয়া হয়।

পরবর্তীতে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাউসার আজিজ উপজেলা কৃষি অফিসারকে আহ্বায়ক করে উপজেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা এবং যুব উন্নয়ন কর্মকর্তাকে সদস্য করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন।

ওই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় তৎকালিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার তদন্ত প্রতিবেদনটি কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর প্রেরণ করেন।

পরে কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ইউপি চেয়ারম্যান মীর মো. মিছবাহুল ইসলামের বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করেন।

এই অবস্থায় স্থানীয় সরকার বিভাগ ভিজিডি কর্মসূচির খাদ্যশস্য বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় জনস্বার্থে তাঁর দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদে ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন নয় মর্মে সরকার মনে করে তাই ওই চেয়ারম্যান কর্তৃক সংঘটিত অপরাধমূলক কার্যক্রম পরিষদসহ জনস্বার্থের পরিপন্থি বিবেচনায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন- ২০০৯ এর ধারা ৩৪(১) অনুযায়ী স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আবু জাফর রিপন তাঁর স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে গত ১৫ ডিসেম্বর ছয়সূতী ইউপি চেয়ারম্যান মীর মো. মিছবাহুল ইসলামকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করেন।

এ বিষয়ে ছয়সূতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মীর মো. মিজবাহুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, আমি ভিজিডির চাল আত্মসাত করিনি। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। এছাড়া এখনো আমি বরখাস্ত হওয়ার আদেশের চিঠি পাইনি।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবাইয়াৎ ফেরদৌসীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান সাময়িক বরখাস্ত হওয়ায় পরবর্তীতে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব কে পালন করবেন এ বিষয়ে আজকালের মধ্যেই চিঠি আসবে।


[মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ি নয়। মতামত একান্তই পাঠকের নিজস্ব। এর সকল দায়ভার বর্তায় মতামত প্রদানকারীর]

এ বিভাগের আরও খবর