কিশোরগঞ্জ নিউজ :: কিশোরগঞ্জকে জানার সুবর্ণ জানালা


পাকুন্দিয়ায় ৫ মার্চ থেকে শুরু হবে কিশোরগঞ্জ জেলা ইজতেমা

 সাখাওয়াত হোসেন হৃদয় | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, শুক্রবার, ৭:৩২ | বিশেষ সংবাদ 


কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে আগামি ৫ মার্চ থেকে শুরু হবে কিশোরগঞ্জ জেলা ইজতেমা। উপজেলার মির্জাপুর এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে তিন দিনব্যাপী এই ইজতেমা ৭ মার্চ আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্ত হবে।

ভারতের বিশ্ব তাবলীগ মারকাজের আমীর মাওলানা সা’দ কান্ধলভীর অনুসারীদের আয়োজনে হওয়া এই জেলা ইজতেমা সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ শুরু করেছে তাবলীগ জামাত কর্তৃপক্ষ।

আগামি ৪ মার্চের মধ্যে ইজতেমা ময়দানের প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি চূড়ান্তভাবে শেষ করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি কিশোরগঞ্জ জেলা ইজতেমা-২০২০ আয়োজনের প্রস্তুতি সংক্রান্ত জেলা কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সরেজমিনে ইজতেমা মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার মির্জাপুর এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে কিশোরগঞ্জ জেলা ইজতেমার প্রস্তুতির কাজ পুরোদমে চলছে। ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে মাঠে কাজ করছেন তাবলীগ জামাতের স্বেচ্ছাসেবীরা।

মাঠে উপস্থিত থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিচ্ছেন পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রেনুসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

ব্রহ্মপুত্র নদের চরে বিশাল এলাকা নিয়ে প্যান্ডেল সাজানো হচ্ছে। এ ইজতেমায় লক্ষাধিক ধর্মপ্রাণ মুসল্লির উপস্থিতির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তাবলীগ জামাতের মুরব্বিরা।

মাঠের প্রস্তুতি কাজের জিম্মাদার হাজী শফিকুল আলম বাচ্চু জানান, ইজতেমার সাথীদের অবস্থানের জন্য পর্যাপ্ত স্থান নিশ্চিতের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এ বছর ব্রহ্মপুত্র নদের চরে বিশাল জায়গায় ইজতেমার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।

জেলার ১৩টি উপজেলা ছাড়াও আশপাশের উপজেলা থেকেও তাবলীগ জামাতের লক্ষাধিক সাথী ভাইয়েরা এ ইজতেমায় অবস্থান করবেন।

পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মফিজুর রহমান জানান, এ বিষয়ে ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতিপত্র তিনি এখনো পাননি। তবে তিনি শুনেছেন জেলা প্রশাসকের কাছে এ বিষয়ে অনুমতির জন্য আবেদন করেছেন তাবলীগ জামাত কর্তৃপক্ষ।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাহিদ হাসান বলেন, তিনদিন ব্যাপী ইজতেমার জন্য অনুমতি চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে একটি আবেদন করেছে ইজতেমা কর্তৃপক্ষ। ইজতেমাটি যাতে শান্তিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয় সেজন্য উপজেলা প্রশাসন সতর্ক দৃষ্টি রাখবে।


[মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ি নয়। মতামত একান্তই পাঠকের নিজস্ব। এর সকল দায়ভার বর্তায় মতামত প্রদানকারীর]

এ বিভাগের আরও খবর