ছোটবেলা থেকেই তাকে টানতো বাউল গানের সুর। ছোটবেলার সেই বাউল গানের প্রেমই তাকে টেনে এনেছে বাউল সাধনায়। পুলিশ বাহিনীর মতো সুশৃঙ্খল একটি বাহিনীতে চাকুরি করেও অবসরে জড়িয়ে রয়েছেন বাউল গানের সুরের মায়ায়। দরদী এই বাউল সাধকের নাম মো. আব্দুল বাতেন।
দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টা আর পরিশ্রমে অবশেষে তিনি বের করেছেন বাছাই করা বাউল গানের একটি এলবাম। এলবামটির নাম ‘ক্ষমা করে দিও আমায়’।
১০টি গান দিয়ে এলবামটি সাজিয়েছেন তিনি। ময়মনসিংহের গান বাংলা রেকর্ডিং স্টুডিওতে এলবামের গানগুলো রেকর্ড করা হয়েছে।
গানগুলো হচ্ছে, আল্লাহ তুমি মহান-সংগৃহীত, গোলাপ তুলে হাতে নিল-ছোট আবুল, তুমি যাইও না যাইও না বন্ধুরে-আবুল সরকার, ক্ষমা করে দিও আমায় যদি বেঁচে না থাকি-মোফাজ্জল শেখ, পেয়েছি এক ভাঙা তরী-লালন সাঁইজী, কষ্ট দিলে সয় না যত-মশিউর, না জানি সাধন ভজন-কবির সরকার, বাঁধিয়া মায়াডোরে-সালাউদ্দিন সরকার, তাজা ফুলের গাঁথা মালা-আলেয়া বেগম এবং দুই চোখ আমার নদী হইলো-আলেয়া বেগম।
মো. আব্দুল বাতেন একজন পুলিশ কনস্টেবল। তিনি বর্তমানে কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশে কর্মরত রয়েছেন। চাকুরীতে যোগদান করেন ২০১১ সালের ১৫ আগস্ট।
মো. আব্দুল বাতেন এলবামটি তার ব্যাচমেট কিশোরগঞ্জ পুলিশ লাইন্সে কর্মরত রোমান আহমেদকে উৎসর্গ করেছেন।
মো. আব্দুল বাতেন এর বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলায়। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত বাতেনের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। বড় মেয়ে ইশরাত ইমরোজ বাঁধন এর বয়স ছয় বছর আর ছোট ছেলে রবিউল ইসলাম সানির বয়স চার বছর।
গানের এলবাম করার ব্যাপারে মো. আব্দুল বাতেন বলেন, ছোটবেলা থেকেই বাউল গানের প্রতি আমার খুব টান। সুরগুলি আমাকে কেমন যেন টানে, কি এক অদেখা মায়ায়! সে মায়া থেকেই আমার এ প্রচেষ্টা।
সবার দোয়া এবং ভালবাসা নিয়ে আমি সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই।