কিশোরগঞ্জ নিউজ :: কিশোরগঞ্জকে জানার সুবর্ণ জানালা


কিশোরগঞ্জের ছয় আসনে ভোটের লড়াইয়ে মোট ৩৪ প্রার্থী

 আশরাফুল ইসলাম, প্রধান সম্পাদক, কিশোরগঞ্জনিউজ.কম | ৯ ডিসেম্বর ২০১৮, রবিবার, ৯:৫১ | এই মুহূর্তের খবর 


একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোননয়নপত্র প্রত্যাহারের পর কিশোরগঞ্জ জেলার ছয়টি আসনে মোট ৩৪ জন প্রার্থী ভোটের লড়াইয়ে রয়েছেন। তাঁরা সবাই দলীয় প্রার্থী। এর মধ্যে পাঁচটি আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থী দিয়েছে। দুই দলই একটি আসন শরিক দলের প্রার্থীর জন্য ছেড়ে দিয়েছে। আসনটি হচ্ছে, কিশোরগঞ্জ-৩।

করিমগঞ্জ ও তাড়াইল উপজেলা নিয়ে গঠিত কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে জেএসডি প্রার্থী দেয়া হয়েছে।

মহাজোটভুক্ত আসনটিসহ জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোট দুইটি আসনে, একটি আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীসহ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) প্রার্থী মোট তিনটি আসনে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রার্থী ছয়টি আসনে, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) প্রার্থী চারটি আসনে, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) প্রার্থী একটি আসনে, জাকের পার্টি প্রার্থী একটি আসনে, গণতন্ত্রী পার্টি একটি আসনে, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি দুইটি আসনে, ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ প্রার্থী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ প্রার্থী একটি আসনে, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি প্রার্থী একটি আসনে এবং বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল) প্রার্থী একটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

কিশোরগঞ্জ জেলার ছয়টি আসনে মোট ৫৫জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে রিটার্নিং অফিসার মোট ৩৪ জনকে বৈধ প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়ে বাকি ২১ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছিলেন।

রিটার্নিং অফিসারের যাছাইয়ে বাতিল হওয়া ২১ প্রার্থীর মধ্যে আপিলে ১২ প্রার্থী তাঁদের প্রার্থিতা ফেরত পান। এছাড়া হাইকোর্টের আদেশে আরো তিন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ করা হয়। ফলে ছয়টি আসনে মোট বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৯ জন।

মহাজোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জোটগত ঐক্য এবং দলীয় একাধিক মনোনয়নের কারণে ছয়টি আসনে মোট ১৫ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা প্রত্যাহার হয়েছে। তাঁদের মধ্যে নয় জন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এছাড়া দলীয় চূড়ান্ত প্রার্থিতা ঘোষণার কারণে বাকি ছয় জনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার হয়েছে। এখন মোট ৩৪ জন প্রার্থী ভোটের লড়াইয়ে রয়েছেন।

রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, কিশোরগঞ্জ-১ (কিশোরগঞ্জ সদর-হোসেনপুর) আসনের ১২ প্রার্থীর মধ্যে সাত প্রার্থীর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার হয়েছে। এ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রার্থী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এমপি, বিএনপি প্রার্থী মো. রেজাউল করিম খান চুন্নু, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি প্রার্থী মো. এনামুল হক, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) প্রার্থী মুহ. আবদুর রহমান অ্যাডভোকেট এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রার্থী মো. মহিউদ্দিন এই পাঁচ জন নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হচ্ছেন।

কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনের ১০ প্রার্থীর মধ্যে তিন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার হয়েছে। এ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাবেক আইজিপি, রাষ্ট্রদূত ও সচিব নূর মোহাম্মদ, বিএনপি প্রার্থী মেজর (অব.) মো. আখতারুজ্জামান রঞ্জন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি প্রার্থী নূরুল ইসলাম, জাকের পার্টির প্রার্থী মো. আব্দুল জব্বার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রার্থী মো. সালাউদ্দিন রুবেল, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির তারেক মো. শফিকুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল) প্রার্থী মীর আবু তৈয়ব মো. রেজাউল করিম এই সাত জন নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হচ্ছেন।

কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনের ৮ প্রার্থীর মধ্যে দুই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার হয়েছে। এ আসনে মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) প্রার্থী মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রার্থী মো. আলমগীর হোসাইন সিপিবি প্রার্থী ডা. এনামুল হক ইদ্রিছ, গণতন্ত্রী পার্টির প্রার্থী দিলোয়ার হোসাইন ভূঁইয়া এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) প্রার্থী মো. শওকত আলী এই ছয় জন নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হচ্ছেন।

কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনের ৪ প্রার্থীর কেউই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি। এ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক এমপি, বিএনপি প্রার্থী বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট মো. ফজলুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রার্থী মোহাম্মদ আহসানুল্লাহ এবং বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ প্রার্থী খায়রুল ইসলাম ঠাকুর এই চার জন নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হচ্ছেন।

কিশোরগঞ্জ-৫ (বাজিতপুর-নিকলী) আসনের ১০ প্রার্থীর মধ্যে তিন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার হয়েছে। এ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. আফজাল হোসেন এমপি, বিএনপি প্রার্থী শেখ মজিবুর রহমান ইকবাল, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি প্রার্থী মো. ফরিদ আহাম্মদ, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি প্রার্থী খন্দকার মোছলেহ উদ্দিন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রার্থী মো. ইব্রাহীম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) প্রার্থী সেলিনা সুলতানা এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টি প্রার্থী শাহ আলম এই সাত জন নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হচ্ছেন।

কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনের পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে কেউই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি। এ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নাজমুল হাসান পাপন এমপি, বিএনপি প্রার্থী মো. শরীফুল আলম, জাতীয় পার্টির প্রার্থী নূরুল কাদের সোহেল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মোহাম্মদ মুছা খান এবং ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ প্রার্থী মো. রুবেল হোসেন এই পাঁচ জন নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হচ্ছেন।

এ সংক্রান্ত সংবাদ: কিশোরগঞ্জে ১৬ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার


[মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ি নয়। মতামত একান্তই পাঠকের নিজস্ব। এর সকল দায়ভার বর্তায় মতামত প্রদানকারীর]

এ বিভাগের আরও খবর